আফগানিস্থানের গৃহ যুদ্ধ কতটা নিরাপদ

আফগানিস্থানের গৃহ যুদ্ধ কতটা নিরাপদ 

কাবুল আর মাজারই শরীফ তালেবানের হাতে চলে গেলে এতদিন ধরে চলা বলতে পারেন গৃহযুদ্ধ শেষ হবে। শুরু হবেনা। ইরাকি আইসিসকে দমন করা সম্ভব হয়েছে ন্যাটোর বোম্বিং আর সরাসরি ইরানি মিলিশিয়াদের সংশ্লিষ্টতাই। আরেকটা ব্যাপার ছিল ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ শিয়া। কিন্তু আফগানিস্তান এর বেশিরভাগ মানুষ সুন্নি আর তারা ইরানি হস্তক্ষেপ পছন্দও করবেনা আর ন্যাটো তো চলেই গেল। এখন কিভাবে কি হবে আল্লাহই জানে।

কোরাতে অনেক লোক তালেবানদের পক্ষে লেখছে। বুকে হাত দিয়ে বলুন বাংলাদেশর জন্য কি তালেবানি স্টাইল শাসন পছন্দ করবেন? অবশ্যই না। তাহলে নিজের জন্য যেটা অপছন্দ করেন সেটা আরেক মুসলমানের জন্য কিভাবে পছন্দ করেন? এটা কি মুমিনের পরিচয়?

তালেবানী স্টাইলটা যদি হয় ইসলামী স্টাইল তাহলে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ সেটাকে সাপোর্ট করবেই। তালেবানী স্টাইল ইসলামী স্টাইল নয়

ইসলামি স্টাইল হোক আর যেটাই হোক বেশিরভাগ মুসলমান এটাকে সাপোর্ট করেনা। একেকযুগে একেক নিয়ম প্রচলিত। বর্তমানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থাই সবচেয়ে ভালো সিস্টেম। এটা আমাদের জানানোর জন্য ধন্যবাদ ড্রাগ ট্রেডিং ইসলামের একটি অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ ।

আফগানিস্থানের গৃহ যুদ্ধ কতটা নিরাপদ



প্রসঙ্গত আফগানিস্তান পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক হেরোইন ও আফিম নির্যাত করে থাকে । পৃথিবীর 60% হেরোইন ও আফিম আসে আফগানিস্তান থেকে । তালিবান এই ড্রাগ ট্রেড সম্পুর্ন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় 4 বিলিয়ন ডলারের বেশি তাদের আয় এই সোর্স থেকে আসে ।

এরা মুখে যা বলে তা নিজেরা বিশ্বাস করে না। এতদিন শুনে এসেছি তালেবানরা 'ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষে আমেরিকার ষড়যন্ত্র', এখন যেই ভালো অবস্থায় এসেছে, তারা হঠাৎ 'মুক্তির দিশারী' 'আশার আলো' ইত্যাদি হয়ে গেছে! বেশ বিনোদন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post